
Blog
খাবার নিয়ে ১০টি প্রচলিত ভুল ধারণা – যা সবার জানা উচিত


Share This with Others!
আমরা প্রতিদিন যেসব খাবার খাই, তা শুধু শরীরের পুষ্টি দেয় না—তা আমাদের জীবনের গঠন, অভ্যাস, এবং সুস্থতার ভিত্তিও তৈরি করে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, খাবার নিয়ে আমাদের সমাজে এমন অনেক ভুল ধারণা বা ‘মিথ’ রয়েছে, যেগুলো আমরা ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছি এবং অজান্তেই বিশ্বাস করে ফেলেছি।
“ভাত খেলেই মোটা হওয়া যায়”, “ডিম খাওয়া মানেই কোলেস্টেরল বাড়বে”, “ব্রাউন ব্রেড মানেই হেলদি”—এইসব কথা এতবার শুনেছি যে, এগুলোকে আমরা অনেকেই সত্য বলে ধরে নিয়েছি।
কিন্তু আধুনিক পুষ্টিবিজ্ঞান বলছে ভিন্ন কথা। এই ব্লগে আমরা আলোচনা করবো খাবার নিয়ে ছড়িয়ে থাকা ১০টি প্রচলিত মিথ, যেগুলো আপনার প্রতিদিনের খাওয়ার অভ্যাসে অজান্তেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
চলুন, জেনে নিই কোন মিথগুলো ভাঙা দরকার—নিজের ও পরিবারের সুস্থতার জন্য।
মিথ ১: ডিম খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়
আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা ডিমের কুসুম দেখলেই ভয় পেয়ে যান। বিশেষ করে যারা হার্টের সমস্যা বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে চিন্তিত, তারা মনে করেন ডিম খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যাবে। অনেকেই হয়ত আপনাকেও বলেছেন, “ডিম খেলেই তো চর্বি জমে!”
কিন্তু বাস্তবতা হলো, এটা একটা পুরনো ও ভুল ধারণা। ডিমে যে কোলেস্টেরল থাকে, সেটা ডায়েটারি কোলেস্টেরল, যা বেশিরভাগ মানুষের শরীরে সরাসরি রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায় না। আমাদের লিভার প্রতিদিন এমনিতেই কোলেস্টেরল তৈরি করে, এবং আমরা খাবার থেকে কোলেস্টেরল গ্রহণ করলে লিভার তার উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
ডিমে আছে উচ্চমানের প্রোটিন, ভিটামিন ডি, বি১২, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসহ আরও অনেক পুষ্টিগুণ। প্রতিদিন ১টা-২টা ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যকর মানুষের জন্য সাধারণত কোনো সমস্যা তৈরি করে না।
তাই ভয় না পেয়ে ডিমকে আবার ফিরিয়ে আনুন আপনার খাবারের তালিকায়—সচেতনভাবে, পরিমিতভাবে।
মিথ ২: ভাত খেলে মোটা হওয়া যায়
ভাত খাওয়ার কথা বললেই এখন অনেকেই যেন চোখ কপালে তোলেন!
“ভাত? না ভাই, আমি এখন ডায়েটিংয়ে আছি।”
“ভাত খেলে ওজন বেড়ে যায়”—এই কথা আমরা এতবার শুনেছি যে, অনেকেই ভাতকে একদম বাদ দিয়ে দিয়েছেন।
কিন্তু আসল সত্যিটা একটু ভিন্ন। পরিমিত ভাত খাওয়া স্বাস্থ্যকর এবং ওজন বাড়ানোর একমাত্র কারণ নয়।
ভাতে মূলত কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা শরীরের শক্তির অন্যতম উৎস। সমস্যা হয় তখনই, যখন আমরা অতিরিক্ত পরিমাণে ভাত খাই, সাথে ভাজাপোড়া বা অতিরিক্ত ঘি-তেলযুক্ত তরকারি খাই এবং একদম শরীরচর্চা করি না।
ভাত একাই মোটা করে না, বরং অতিরিক্ত খাওয়া + অলস জীবনযাপন একসাথে ওজন বাড়ায়।
এক কাপ রান্না করা ভাতে মাত্র ২০০ ক্যালোরি থাকে, যা ব্যালান্সড ডায়েটের অংশ হিসেবেই খাওয়া যেতে পারে।
তাই ভয় না পেয়ে, নিজেকে বঞ্চিত না করে, পরিমাণ বুঝে ভাত খান। সঠিক পুষ্টি মানে কোনো খাবার বাদ দেওয়া নয়—বরং সব খাবারকে সঠিকভাবে গ্রহণ করা।
মিথ ৩: প্রোটিন শুধু মাংসে পাওয়া যায়
প্রোটিন মানেই কি শুধু গরু, মুরগি, ডিম বা মাছ?
আমাদের আশেপাশে এই ধারণাটাই বেশ প্রচলিত।
“নিরামিষ খাচ্ছেন? তাহলে প্রোটিন পাচ্ছেন কোথা থেকে?” — এমন প্রশ্ন অনেককেই শুনতে হয়, বিশেষ করে যারা মাংস খান না।
কিন্তু সত্যি হলো প্রোটিন শুধু মাংসেই সীমাবদ্ধ নয়, উদ্ভিদভিত্তিক অনেক খাবারেই রয়েছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন।
ডাল, ছোলা, সয়াবিন, মসুর, বাদাম, তিল, চিয়া সিড — এই সব খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং সাথে আছে ফাইবার, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যারা নিরামিষাশী, তারা ঠিকভাবে পরিকল্পনা করলে plant-based খাবার থেকেই প্রোটিন পেতে পারেন।
আরেকটা কথা—সব মাংসও সমানভাবে উপকারী নয়। প্রক্রিয়াজাত মাংস (যেমন সসেজ, সালামি) বরং শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
তাই প্রোটিন মানেই শুধু মাংস নয়। প্রোটিনের উৎস বৈচিত্র্যময় করতে পারলেই আপনি আরও বেশি পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে পারবেন।
মিথ ৪: ডায়েট বা জিরো ক্যালরি ড্রিঙ্কস স্বাস্থ্যকর
আপনি হয়তো নিজের চিন্তায় ভাবছেন—
“সাধারণ কোল্ড ড্রিংক না খেয়ে আমি তো ডায়েট কোক খাই, এতে তো ক্যালরি নেই। আমি তো ঠিকই আছি!”
এই বিশ্বাসটাই সবচেয়ে বড় ফাঁদ। জিরো ক্যালরি ড্রিঙ্কস আসলে স্বাস্থ্যকর নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
ডায়েট কোক বা ‘জিরো সুগার’ পানীয়তে চিনির বদলে থাকে কৃত্রিম সুইটনার (যেমন অ্যাসপারটেম, স্যাকরিন)। এগুলো ক্যালরি কম হলেও শরীরের হরমোনের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে —
🔹 এই ড্রিঙ্কসগুলো ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়
🔹 মস্তিষ্ককে বিভ্রান্ত করে
🔹 এমনকি ওজন কমার বদলে ওজন বাড়ানোর ঝুঁকি তৈরি করে
আপনার শরীর যদি প্রতিদিন “মিষ্টি” স্বাদ পায়—even জিরো ক্যালরি হলেও—সে কিন্তু আসল চিনির প্রত্যাশায় ইনসুলিন নিঃসরণ শুরু করে দেয়।
তাই ক্যালোরির লোভে ভুয়া “জিরো” শব্দে ভুলে যাবেন না। পানীয় হিসেবে সব সময় সেরা হলো পানি, লেবু পানি বা ফলের প্রাকৃতিক পানীয়।
মিথ ৫: ব্রাউন ব্রেড মানেই হেলদি
সুপার শপে গেলে অনেকেই প্রথমেই ধরেন একটা ‘ব্রাউন ব্রেড’।
প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে “Healthy”, “Multigrain”, “High Fiber” — আর আমরাও নিশ্চিন্তে ধরে নিই: এটা নিশ্চয়ই ভালো!
কিন্তু সত্যিটা একটু ঘোলাটে। সব ব্রাউন ব্রেড স্বাস্থ্যকর নয়। অনেক সময় শুধুমাত্র রং দিয়ে সাদা ব্রেডকেই ‘ব্রাউন’ বানানো হয়।
আসল whole grain বা whole wheat bread আর শুধুমাত্র ‘brown bread’ এক জিনিস নয়। অনেক কোম্পানি কেবল ক্যারামেল রঙ বা মোলাসেস মিশিয়ে রংটা গাঢ় করে দেয় — যাতে এটা দেখতে হেলদি মনে হয়। কিন্তু ভেতরে তখনও সেটা হতে পারে রিফাইনড ফ্লাওয়ার (Maida) দিয়ে তৈরি একেবারে সাধারণ ব্রেড।
তাহলে কী করবেন?
ব্রেডের প্যাকেটের উপাদান তালিকা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। যদি তালিকার একদম শুরুতে ‘whole wheat flour’ লেখা থাকে, তাহলে বুঝবেন এটা সত্যিকারের স্বাস্থ্যকর বিকল্প। শুধু ‘হেলদি’ লেখা দেখেই নয়—বুদ্ধিমানের মতো খেতে শিখুন, কারণ স্বাস্থ্য আসে সচেতনতার মধ্য দিয়ে।
মিথ ৬: খালি পেটে ফল খেলে গ্যাস্ট্রিক হয়
“সকালবেলা খালি পেটে আপেল খেয়ো না, গ্যাস্ট্রিক হবে।” এই কথা নিশ্চয়ই অনেকবার শুনেছেন মা, খালা বা আত্মীয়দের মুখে। এমনকি অনেকেই তো ভয়েই সকালে ফল খাওয়া এড়িয়ে চলেন।
কিন্তু এটা কি আসলেই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত? সত্যি হলো বেশিরভাগ ফল খালি পেটে খাওয়া একদম নিরাপদ, বরং উপকারী। বেশিরভাগ ফল — যেমন আপেল, কলা, পেঁপে, তরমুজ ইত্যাদি — সহজপাচ্য এবং এতে রয়েছে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পানি। ফল খালি পেটে খেলে শরীর দ্রুত তা শোষণ করতে পারে এবং পাচনতন্ত্র পরিষ্কার থাকে।
হ্যাঁ, যাদের অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের প্রবণতা আছে, তাদের ক্ষেত্রে কিছু টক জাতীয় ফল (যেমন কমলা, আনারস) খালি পেটে এড়িয়ে চলাই ভালো।
তাহলে কি করা যায়?
সব ফল নয়, কিছু নির্দিষ্ট ফল ব্যক্তিভেদে সমস্যা করতে পারে। কিন্তু ফল খালি পেটে খেলেই গ্যাস্ট্রিক হয়—এমন ধারণা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়।
মিথ ৭: খালি পেটে কফি খেলে শরীর পরিষ্কার হয়
সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকের প্রথম কথাই হয়,
“এক কাপ কফি না হলে দিনটাই শুরু হয় না!”
আর কেউ কেউ তো বলেন, “খালি পেটে কফি খেলেই তো পেট পরিষ্কার হয়।”
এই ধারণা ঠিক কতটা সত্য?
উত্তর – খালি পেটে কফি খাওয়া শরীর পরিষ্কার করে না, বরং অনেকের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।
কফিতে থাকা ক্যাফেইন খালি পেটে গেলে পাকস্থলীতে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে হতে পারে:
🔻 গ্যাস্ট্রিক
🔻 অ্যাসিড রিফ্লাক্স
🔻 মাথা ঝিমঝিম করা
তাছাড়া, খালি পেটে ক্যাফেইন খেলে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা শরীরের স্ট্রেস লেভেল বাড়িয়ে তোলে।
তাই সকালে কিছু হালকা কিছু খেয়ে তারপর কফি পান করাই ভালো—হতে পারে একটা বিস্কুট, একটুখানি কলা, বা একটা ছোট ফল।
এক কাপ কফি তো অবশ্যই দিনটা শুরু করতে সাহায্য করে—শুধু আগে নিজের পেটটার কথা একটু ভাবলেই হয়।
মিথ ৮: কম লবণ মানেই স্বাস্থ্যকর খাবার
অনেকেই ভাবেন, “লবণ কম খাচ্ছি মানে আমি খুব হেলদি।” আর কিছু মানুষ তো একেবারে লবণ ছাড়াই খাওয়া শুরু করে দেন—ভাবেন, এতে শরীর ভালো থাকবে।
কিন্তু সত্যিটা একটু অন্যরকম। অতিরিক্ত লবণ যেমন ক্ষতিকর, তেমনি একেবারে লবণ ছাড়া খাওয়া শরীরের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
লবণ মানে শুধু স্বাদ না, এটা শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স, নার্ভ ও মাংসপেশির কার্যকারিতা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য অপরিহার্য। যদি আপনি দীর্ঘদিন ধরে খুব কম লবণ খান, তাহলে হতে পারে:
🔻 দুর্বলতা
🔻 মাথা ঘোরা
🔻 হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হওয়া
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৫ গ্রাম এর কম লবণ খাওয়াই উচিত। এর মানে এই না যে লবণ বাদ দিয়ে দিতে হবে—বরং পরিমিত লবণ খাওয়াই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস।
মিথ ৯: রাতে ফল খাওয়া ক্ষতিকর
রাতের খাবারের পর ফল খেতে চাইলে মা হঠাৎ বলবেন, “রাতে ফল খেলে তো গ্যাস হবে, পেট ফুলে যাবে।” আত্মীয়-স্বজনরাও বলেন, “রাতে ফল খাওয়া মানে শরীরের ক্ষতি।” এমন কথা শুনে অনেকে ফল খাওয়ার অভ্যাসটাই বাদ দিয়ে দেন রাতে।
অথচ রাতে হালকা ও সহজপাচ্য ফল পরিমাণ মতো খেলে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না। ফল হল এমন একটি খাবার যার মধ্যে আছে ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সারাদিন ব্যস্ত থাকার পর রাতে হালকা কিছু ফল—যেমন পেঁপে, কলা, আপেল—পাচনের জন্য হালকা এবং শরীরের জন্য ভালো।
তবে হ্যাঁ, খুব বেশি মিষ্টি ফল বা অ্যাসিডিক ফল (যেমন আনারস, আঙ্গুর বা বেশি পরিমাণ আম) রাতে অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়—বিশেষ করে যারা গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু একেবারে “রাতে ফল খাওয়া মানেই ক্ষতি”—এই ধারণা একদমই ঠিক নয়।
মিথ ১০: দুধ খেলে গ্যাস্ট্রিক হয়
অনেকেই বলেন, “দুধ খেলে পেট ফেঁপে যায়”, “গ্যাস্ট্রিক হয়”, “তাই দুধ আমি একদম খাই না!”
আর এমন কথা এত শুনেছি, যে আমরা নিজেরাও দুধকে যেন একটু দূরেই রাখতে শিখেছি।
কিন্তু এটা কি সবার জন্য সত্য?
উত্তর – দুধ খেলে গ্যাস্ট্রিক হয় — এটা কেবলমাত্র তাদের জন্য সত্য, যারা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সে ভোগেন।
ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স এমন এক ধরনের সমস্যা, যেখানে শরীর দুধের মধ্যে থাকা ল্যাকটোজ হজম করতে পারে না। ফলে কারও কারও পেটে অস্বস্তি, গ্যাস বা ডায়রিয়া হতে পারে।
তবে সব মানুষের শরীর এমন নয়। যারা ল্যাকটোজ সহ্য করতে পারেন, তাদের জন্য দুধ একটি পূর্ণ পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার — এতে থাকে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি-১২ ও ডি, যা হাড় ও দাঁতের গঠনে, পেশি শক্তিতে ও শরীরের ইমিউনিটিতে ভূমিকা রাখে।
তাই দুধকে একেবারে দোষী বানানোর আগে, বুঝে নিন আপনার শরীরের ধরন। সমস্যা হলে বিকল্প যেমন ল্যাকটোজ-ফ্রি দুধ, সয়া মিল্ক বা বাদামের দুধ ট্রাই করতে পারেন।
তবে যাবার আগে…
দুঃখজনকভাবে খাবারকে ঘিরে বহু ভুল ধারণা, অর্ধসত্য আর ভয় আমাদের অভ্যাসের মধ্যে ঢুকে গেছে।
আর এই সব মিথ আমরা এতদিন ধরে বিশ্বাস করে এসেছি যে, সত্য জানার সুযোগটাই হারিয়ে ফেলেছি।
এই ব্লগে আমরা চেষ্টা করেছি সেই ভুলগুলোকে আলোর মুখ দেখাতে। কারণ, সচেতনতা ছড়ানো মানেই সুস্থতার বীজ বোনা। ভালো থাকার জন্য দরকার কেবল দামি খাবার না—দরকার সঠিক তথ্য, পরিমিতি জ্ঞান, আর নিজের শরীরকে বোঝার ক্ষমতা।
Popular Blog

