
Blog
কোরবানির ঈদ – কোন দিন কি রান্না করবেন?


Share This with Others!
আপনার ঈদের পরিকল্পনা শুরু হয়ে গেছে? মানে, কে মাংস আনবে, কে কাটা-ধোয়ার দায়িত্বে থাকবে, আর কে করবে রান্নাঘরে রাজত্ব—সব কিছু কি মোটামুটি ঠিকঠাক?
কোরবানির ঈদ শুধু কোরবানির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি এমন এক উৎসব যেখানে রান্না আর খাওয়ার আনন্দ পরিবার ও প্রতিবেশীদের আরও কাছাকাছি এনে দেয়।
প্রতিদিন যদি একটু একটু করে আলাদা স্বাদের কিছু রান্না করা যায়—তাহলে উৎসবের রঙ আরও গাঢ় হয়, তাই না? আর যদি আগে থেকেই প্ল্যান করে নেওয়া যায়, তাহলে চাপও কম, রান্নায়ও মজা দ্বিগুণ!
এই ব্লগে আমরা আছি আপনার পাশে—১ম দিন থেকে ৫ম দিন পর্যন্ত কী রাঁধবেন, কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন, এমনকি AKIJ Essential-এর কোন পণ্যগুলো আপনার ঈদকে আরও সহজ করে তুলবে—সব কিছু নিয়েই একেবারে সাজানো গোছানো প্ল্যান!
চলুন, ঈদের আনন্দ শুরু হোক এখন থেকেই—মেনু প্ল্যানিং দিয়ে!
ঈদের কোন দিন হবে কি রান্না?
ঈদের এক এক দিন মানেই এক এক রকম অনুভব। কেউ মাংস কাটায় ব্যস্ত, কেউ অতিথি সামলাচ্ছেন, আবার কেউ রান্নাঘরে নতুন কিছু ট্রাই করছেন। তাই যদি প্রতিদিনের জন্য আলাদা মেনু আর হালকা প্ল্যানিং থাকে, তবে ঈদের আনন্দ হয় কয়েক গুণ বেশি!
প্রথম দিনঃ গরুর মাংসের শাহী রেজালা
ঈদের সময় যদি কিছু একটু আলাদা, একটু ঘ্রাণে ও স্বাদে ভারী কিছু খেতে চান, তাহলে গরুর মাংসের শাহী রেজালা হতে পারে একদম পারফেক্ট। এটি এমন এক পদ—যা দেখতে যেমন রাজকীয়, খেতেও তেমনই ঘ্রাণে-ঘ্রাণে ভরপুর।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
- গরুর মাংস – ১ কেজি (হাড়সহ)
- দই – ১ কাপ
- আদা বাটা – ১ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা – ১ টেবিল চামচ
- পেঁয়াজ কুচি – ১ কাপ
- দুধ – ১ কাপ
- মালাই বা ফ্রেশ ক্রিম – ৪ টেবিল চামচ
- জাফরান – ১ চিমটি (২ টেবিল চামচ গরম দুধে ভেজানো)
- দারুচিনি – ২ টুকরো
- এলাচ – ৩-৪টি
- তেজপাতা – ২টি
- কেওড়ার পানি – ১ চা চামচ
- চিনি – ১ চা চামচ
- গোলমরিচ গুঁড়া – ১ চা চামচ
- আকিজ এসেনসিয়াল লবণ – স্বাদমতো
- সয়াবিন তেল – ১/২ কাপ
রান্নার প্রক্রিয়া
প্রথমে গরুর মাংসটি ভালো করে ধুয়ে দই, আদা-রসুন বাটা, আর একটু লবণ দিয়ে মেখে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে তাতে দিন দারুচিনি, এলাচ ও তেজপাতা। গন্ধ ছড়াতে শুরু করলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিন।
এবার মাংস দিয়ে ভালোভাবে কষাতে থাকুন যতক্ষণ না তেল ছেড়ে দেয়। মাঝেমধ্যে অল্প পানি দিয়ে ঢেকে দিন যাতে মাংস সেদ্ধ হয়। এখন দুধ, মালাই ও জাফরান দিয়ে দিন। ৫–৭ মিনিট মিডিয়াম আঁচে রান্না করুন যাতে সব উপাদান মিশে মোলায়েম গ্রেভি তৈরি হয়।
সবশেষে চিনি, গোলমরিচ গুঁড়া ও কেওড়ার পানি দিয়ে আরও ২ মিনিট রান্না করে নামিয়ে ফেলুন।
টিপস
- জাফরান না থাকলে সামান্য গুঁড়া দুধ ও ঘি দিয়েও রিচ ফ্লেভার আসবে।
- মাংস যদি প্রেশার কুকারে ১ সিটি দিয়ে নেন, সময় বাঁচবে।
- গ্রেভি গাঢ় চাইলে একটু কাজু-পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।
দ্বিতীয় দিনঃ বিফ তেহারি
ঈদের পরদিন দুপুরে গরম গরম গরুর মাংসের তেহারি হলে যেন আর কিছু লাগে না! বাসায় অতিথি থাকুক বা পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে খেতে বসার দিন হোক—বিফ তেহারি সেই স্পেশাল পদ, যা সকলের ভালো লাগতে বাধ্য।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
- গরুর মাংস – ১ কেজি (হাড়সহ টুকরো)
- পোলাও চাল – ১ কেজি
- পেঁয়াজ কুচি – ২ কাপ
- আদা বাটা – ১ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা – ১ টেবিল চামচ
- দারুচিনি – ২–৩ টুকরো
- এলাচ – ৪–৫টি
- লবঙ্গ – ৪টি
- তেজপাতা – ২টি
- জিরা গুঁড়া – ১ চা চামচ
- ধনে গুঁড়া – ১ চা চামচ
- লাল মরিচ গুঁড়া – ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- দই – ১/২ কাপ
- কেওড়ার পানি – ১ চা চামচ
- আকিজ এসেনসিয়াল লবণ – স্বাদমতো
- গরম পানি – প্রয়োজনমতো
- আকিজ এসেনসিয়াল সরিষার তেল – ১ কাপ
রান্নার প্রক্রিয়া
প্রথমে পোলাও চাল ধুয়ে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। গরুর মাংসটিও ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
একটি বড় হাঁড়িতে সরিষার তেল গরম করে দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ও তেজপাতা দিন। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভাজুন।
এখন দিন আদা-রসুন বাটা, সব গুঁড়া মসলা ও লবণ। ২–৩ মিনিট নেড়ে নিয়ে এতে দিন মাংস ও দই। ভালোভাবে কষান যতক্ষণ না তেল ছেড়ে দেয়। এরপর অল্প গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিন এবং মাংস সেদ্ধ করে নিন।
মাংস যখন প্রায় সেদ্ধ হয়ে আসবে, তখন কেওড়ার পানি দিয়ে আরেকটু কষিয়ে এতে ভেজানো চাল দিয়ে দিন। এখন চালের পরিমাণ অনুযায়ী গরম পানি দিন (চালের দ্বিগুণের একটু কম)।
ঢেকে দিন এবং মিডিয়াম আঁচে রান্না করুন যতক্ষণ না চাল ফুঁলে উঠে ও পানি শুকিয়ে যায়। এরপর নিচ থেকে মিশিয়ে আরও ১০ মিনিট দমে রাখুন।
টিপস
- তেহারিতে পেঁয়াজ একটু বেশি দিলেই মিষ্টি-মসলাদার ঘ্রাণ আসবে।
- চাল যেন একদম গলে না যায়, তাই পানি ও সময় ঠিকঠাক মেপে দিন।
- চাইলে শেষে সামান্য ঘি ছড়িয়ে দিতে পারেন, ফ্লেভার আরও ডাবল হবে!
তৃতীয় দিনঃ কড়াই গোস্ত
ঈদের সময় এমন একটা পদ দরকার হয়, যা ঝাল-মশলায় টইটম্বুর, অথচ রান্না সহজ—এই জায়গায় কড়াই গোস্ত একেবারে সেরা। পেঁয়াজ, টমেটো, আদা-রসুন, মরিচ—সব মিলিয়ে একটা ঘরোয়া অথচ ভীষণ টেস্টি পদ, যা গরম ভাতে বা পরোটার সঙ্গে খাওয়ার জন্য একদম পারফেক্ট।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
- গরুর মাংস – ১ কেজি (বোনলেস হলে ভালো হয়)
- পেঁয়াজ কুচি – ১ কাপ
- আদা বাটা – ১ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা – ১ টেবিল চামচ
- টমেটো – ৩টি (স্লাইস করা)
- কাঁচা মরিচ – ৫–৬টি (চিরে রাখা)
- লাল মরিচ গুঁড়া – ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- ধনে গুঁড়া – ১ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া – ১ চা চামচ
- গরম মসলা গুঁড়া – ১ চা চামচ
- কসুরি মেথি (না থাকলে বাদ দিন) – ১ চা চামচ
- আকিজ এসেনসিয়াল লবণ – স্বাদমতো
- কাঁচা ধনেপাতা – সাজানোর জন্য
- সয়াবিন তেল – ১/২ কাপ
রান্নার প্রক্রিয়া
প্রথমে একটি বড় কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম করুন। তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন এবং হালকা বাদামি করে ভাজুন। এরপর দিন আদা-রসুন বাটা। ১–২ মিনিট ভেজে নিয়ে এতে মাংস দিয়ে ভালোভাবে কষাতে থাকুন।
মাংস থেকে পানি ছাড়বে, সেটাকে শুকিয়ে নিন। এবার দিন টমেটো, হলুদ, মরিচ, ধনে, জিরা ও লবণ। সব মসলা দিয়ে আবারো ভালো করে কষাতে থাকুন যতক্ষণ না তেল ছাড়ে। মাঝে মাঝে অল্প পানি দিয়ে নেড়ে নিন যাতে মসলা লেগে না যায়।
মাংস আধা সিদ্ধ হয়ে এলে ঢেকে দিন এবং মিডিয়াম আঁচে রান্না হতে দিন। প্রেশার কুকার ব্যবহার করলে ১–২ সিটি দিলেই হবে। শেষে কাঁচা মরিচ, গরম মসলা ও কসুরি মেথি ছড়িয়ে ২ মিনিট রান্না করুন।
নামানোর পর কাঁচা ধনেপাতা ছড়িয়ে দিন। ব্যস! তৈরি আপনার ঝাল, ঝাল কড়াই গোস্ত!
টিপস
- মাংস কষাতে ধৈর্য ধরুন—এই ধাপেই মূল স্বাদ লুকিয়ে থাকে।
- টমেটো ভালোমতো গলে গেলে গ্রেভি হবে ন্যাচারাল ও রিচ।
- আরও ঘন গ্রেভির জন্য শেষে সামান্য কাজু বা পোস্ত বাটা মেশানো যায়।
চতুর্থ দিনঃ গার্লিক বিফ
গরুর মাংস আর রসুন—এই দুইয়ের প্রেমের কেমিস্ট্রি থেকেই তৈরি হয় গার্লিক বিফ। মজাদার এই রান্না খেতেও দারুণ ফ্লেভারফুল! তাই ঈদের তৃতীয় দিন ঝালপ্রেমীদের জন্য এটি হতে পারে একেবারে পারফেক্ট একটা পদ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
- গরুর মাংস (পোড়ার টুকরো) – ১ কেজি
- রসুন বাটা – ২ টেবিল চামচ
- রসুন কোয়া – ১০–১২টি (ছোট করে কুচি করা)
- পেঁয়াজ কুচি – ১/২ কাপ
- সয়া সস – ৩ টেবিল চামচ
- টমেটো সস – ২ টেবিল চামচ
- গোলমরিচ গুঁড়া – ১ চা চামচ
- চিনি – ১ চা চামচ
- ভিনেগার – ১ টেবিল চামচ
- কাঁচা মরিচ – ৪–৫টি (স্লাইস করে কাটা)
- আকিজ এসেনসিয়াল লবণ – স্বাদমতো
- আকিজ এসেনসিয়াল সয়াবিন তেল – ১/২ কাপ
- তিল (সাজানোর জন্য)
রান্নার প্রক্রিয়া
প্রথমে গরুর মাংস ধুয়ে সয়া সস, রসুন বাটা, টমেটো সস, চিনি, ভিনেগার, লবণ আর গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে ম্যারিনেট করে রেখে দিন ১ ঘণ্টা। এরপর কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে তাতে রসুন কুচি দিন—হালকা বাদামি করে ভাজুন।
এবার ম্যারিনেট করা মাংস ঢেলে দিন কড়াইয়ে। মাঝারি আঁচে ভালোভাবে কষাতে থাকুন। প্রয়োজনে অল্প পানি দিন যেন মাংস নরম হয়। মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে আরও ৫ মিনিট রান্না করুন।
সবশেষে ওপরে তিল ছড়িয়ে নামিয়ে ফেলুন।
টিপস
- গার্লিক ফ্লেভার বুস্ট করতে শেষের দিকে ১ চা চামচ রোস্টেড রসুন বাটা দিতে পারেন।
- বেশি ঝাল চাইলে শুকনা মরিচ ফ্লেক্স ব্যবহার করুন।
- হালকা নুডলস বা ফ্রায়েড রাইসের সঙ্গে দারুণ যায় এই পদটি।
পঞ্চম দিনঃ ঝুরা মাংস
ঈদের কোরবানির মাংস দিয়ে একাধিক পদ বানানোর পরও যদি কিছুটা মাংস থেকে যায়, তবে সেই বাকি মাংস দিয়ে একদম ভিন্ন স্বাদের কিছু বানাতে চাইলে ঝুরা মাংসই পারফেক্ট। শুকনো, মশলাদার আর পরোটা বা লুচির সঙ্গে খাওয়ার জন্য একেবারে চমৎকার!
প্রয়োজনীয় উপকরণ
- গরুর মাংস – ৫০০ গ্রাম (সেদ্ধ করে ছেঁচে ঝুরি করে নেওয়া)
- পেঁয়াজ কুচি – ১ কাপ
- আদা বাটা – ১ চা চামচ
- রসুন বাটা – ১ চা চামচ
- লাল মরিচ গুঁড়া – ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- ধনে গুঁড়া – ১ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- দারুচিনি – ১ টুকরো
- এলাচ – ২টি
- তেজপাতা – ১টি
- কাঁচা মরিচ – ৩–৪টি (চিরে নেওয়া)
- আকিজ এসেনসিয়াল লবণ – স্বাদমতো
- ধনেপাতা কুচি – ২ টেবিল চামচ
- সয়াবিন তেল – ১/২ কাপ
রান্নার প্রক্রিয়া
প্রথমে সেদ্ধ করা মাংস হাত দিয়ে বা ছুরি দিয়ে ভালোভাবে ঝুরি করে রাখুন। এরপর কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে তাতে দিন দারুচিনি, এলাচ ও তেজপাতা।
গন্ধ ছড়াতে শুরু করলে পেঁয়াজ কুচি দিন ও হালকা বাদামি করে ভেজুন। এখন এতে দিন আদা-রসুন বাটা, সব গুঁড়া মসলা ও লবণ। মসলা কষাতে কষাতে দিন ঝুরি করা মাংস।
মাঝারি আঁচে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না মাংস ভালোভাবে মশলায় মিশে যায় ও হালকা ক্রিসপি ধরনের হয়। চাইলে সামান্য পানি ছিটিয়ে ঢেকে ২–৩ মিনিট রাখতে পারেন।
সবশেষে কাঁচা মরিচ ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে আরও ২ মিনিট নেড়ে নামিয়ে ফেলুন।
টিপস
- মাংস ভালোভাবে ঝুরি না করলে খেতে তেমন হবে না—সেদ্ধ করার পর ঠান্ডা করে ছেঁচে নিন।
- বেশি শুকনো চাইলে একটু সময় দিয়ে নাড়তে থাকুন, যেন হালকা ভাজা ভাজা হয়।
- এটা দিয়ে স্যান্ডউইচ, পরোটা রোল বা নাস্তার আইটেমও বানানো যায়!
তবে যাবার আগে…
কোরবানির ঈদ মানেই শুধু উৎসব নয়—মানেই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, হাসি-আনন্দ, আর রসনার পূর্ণতা। এই বিশেষ সময়টা আরও সুন্দর হয়ে ওঠে যদি প্রতিদিনের খাবারে থাকে নতুন কিছু স্বাদ, নতুন কিছু আয়োজন।
আমরা চেষ্টা করেছি এমন কিছু রেসিপি শেয়ার করতে—যা সহজে করা যায়, আবার স্বাদে থাকে ভিন্নতা। ঈদ হোক শাহী রেজালার মতো ভারী পদে ভরপুর বা ঝুরা মাংসময় একটু রিফ্রেশমেন্টের মতো!
প্ল্যান করে রান্না করলে যেমন চাপ কমে, তেমনি সময়টাও উপভোগ করা যায় আরও বেশি। তাই আগে থেকেই ঠিক করে নিন কোন দিনে কোন পদ রান্না করবেন, আর হাতে রাখুন আকিজ এসেনসিয়াল–এর গুণগত মানসম্পন্ন চাল, তেল, মসলা ও লবণ, যেন প্রতিটি রান্নাতেই থাকে নিখুঁত স্বাদ।
সব শেষে, ঈদের আনন্দ হোক সুস্বাদু খাবারে, আপনজনের সঙ্গে মিলেমিশে কাটানো মুহূর্তে।
আনন্দময় হোক আপনার কোরবানির ঈদ!
Popular Blog

